বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট : ক্রেতারা হতাশ
- আপলোড সময় : ২৩-০২-২০২৫ ০১:২২:১২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-০২-২০২৫ ০১:২২:১২ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
আর কিছুদিন পরই পবিত্র রমজান মাস। এরই মধ্যে অসাধু চক্রের কবলে ভোজ্যতেলের বাজার। সুনামগঞ্জের বাজারে দেখা দিয়েছে ভোজ্যতেলের সংকট। চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল না পেয়ে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। আসন্ন রমজানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, দীর্ঘ দুই মাস যাবত এই সংকট থাকলেও গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্যতেল সংকটের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এতে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
শনিবার সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে মুদি দোকানগুলোতে এই তেল সংকটের চিত্র দেখা যায়। এদিকে রমজানকে সামনে রেখে রোজা পালনের প্রস্তুতি নিতে ক্রেতারা তেল পেতে দোকানে দোকানে ছুটে চলার দৃশ্যও দেখাগেছে। কিন্তু বাজারে চাহিদা অনুযায়ী তেল না পেয়ে তাদের অনেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জানাযায়, সুনামগঞ্জ শহরে ভোজ্য তেলের বিভিন্ন কো¤পানির ডিলারদের চাহিদা অনুপাতিক হারে কোনো কো¤পানির তেল পাচ্ছেন না তারা। ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। অন্তত দুই মাস আগে থেকে ঢাকার কোম্পানিগুলোতে তেলের জন্য টাকা জমা দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবসায়ীরা তেল পাচ্ছেন না। নি¤œমানের কো¤পানির হাফ লিটার, ১ লিটার বা ২ লিটারের বোতল অল্প পরিমাণে বেচাকেনা হচ্ছে। তবে ৫ লিটার তেলের কোনো বোতল পাওয়া যাচ্ছে না।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ফ্রেশ তেল বাজারে নেই। ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা করে। পুষ্টি, সান, স্টারশিপ, রূপ চাঁদা, তীর ৫ লিটারের বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা করে। তীর ক্যানোলা ৫ লিটার বিক্রি হয়েছে ৯৪৫ টাকা করে। তৃপ্তি লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৮শত টাকা করে। তবে প্রতি ৪ লিটারে ২ শত গ্রাম কম বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। পিওর ২ লিটার ৩৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আব্দুল করিম বলেন, সারা শহর ঘুরে ও ৫ লিটার তেলের বোতল পাইনি। ২ লিটারও নাই। রমজান মাস শুরুর আগে তেলের সংকট নিরসন না হলে মারাত্মক সমস্যায় পড়বে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।
ক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, তেল বাজারে আসলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের স্টক বাণিজ্য লেগেই আছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করলে তেল সংকট কমে আসবে।
ক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণে বার বার তেল সংকট দেখা দিয়েছে। তেলের সংকট সাংসারিক কাজে মহাসংকট। এটা অবশ্যই রমজানের আগে এই সংকট নিরসন করা উচিত।
খুচরা ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা ডিলাদের কাছে গেলে তেল পাই না। অন্যান্য সময় তেলের ও পেয়াজের সংকট ফেলে রাখতো এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা মার্কেট এলাকার ডিলার শফিক মিয়া বলেন, আমি ফ্রেশ কোম্পানিতে গত দুই মাস আগে টাকা জমা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু চাহিদা অনুপাতে তেল পাচ্ছি না। আমার প্রতিদিন ২ হাজার কার্টন তেলের মধ্যে পাচ্ছি মাত্র ২-৩ শত কার্টন।
সুনামগঞ্জ শহরের ‘পুষ্টি’ তেলের ডিলার অসীম রায়, ‘বসুন্ধরা’ তেলের ডিলার বাদল, ‘তীর’ তেলের ডিলার সুজন, ‘সান’ তেলের ডিলার নান্টু পাল। তারা বলেন, ঢাকা থেকে তেল চাহিদা মতো দেয়া হয় না। যে তেল আমরা পাই, তা চাহিদা মেটানো যায় না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের বাজারে তেল সংকটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ